পাকিস্তানের অর্থনীতি মোটেই ভালো অবস্থায় নেই। বরং পাকিস্তানের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য। ঋণ নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে শাহবাজ শরীফের দেশ। 2023 সালে দেশটি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারে এসে পৌঁছেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আইএমএফ বেলআউট প্যাকেজ দেওয়ায় মুখরক্ষা হয়েছে ইসলামাবাদের। এরপরেও পাকিস্তানকে আবারও হাত পাততে হবে IMF- এর কাছেই। অবস্থা এমন যে, পাকিস্তান থেকে বহু মানুষ পালানোর উপায় খুঁজছেন। যাদের সম্বল রয়েছে, তাঁরা পাকিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে বাস করছেন। কিন্তু পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের গোয়ার্তুমি বন্ধ হওয়ার নয়। ফের একবার পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। শনিবার শাহবাজ শরীফ দাবি করেছেন, পাকিস্তান যদি কঠোর এবং সততার সঙ্গে কাজ করে, তবে ভারতের মতো বড় অর্থনীতিকে পিছনে ফেলে দেবে।
একদিকে পাকিস্তান যখন আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি, দেশে কর ফাঁকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে তখন শাহবাজ শরীফ ভারতের সঙ্গে কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দিতা শুরু করেছে। পাকিস্তানে 2022-2023 এর মধ্যে প্রায় 5800 বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি কর ফাঁকি হয়েছে। যা কিনা পাক GDP- এর প্রায় 6.9 শতাংশ।
অন্যদিকে, নয়াদিল্লি এই সপ্তাহে জানিয়েছে, ভারত এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ প্রায় 2097 বিলিয়ন টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় 12.4 শতাংশ বেশি। ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউয়ের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, 'দেশের বার্ষিক কর লক্ষ্যমাত্রার 9.4 ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বদলে ও 24 ট্রিলিয়ন রুপি রাজস্ব সংগ্রহ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ' পাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই মুখচুন করে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে বলেন, র্নীতির কারণে পাকিস্তান তিন গুণ রাজস্ব হারাচ্ছে।